শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৯ অপরাহ্ন
প্রাণঘাতী নোভেল করোনা ভাইরাস (2019-nCoV) প্রতিরোধে টিকা উদ্ভাবনে কাজ করছেন রাশিয়া ও চীনের বিজ্ঞানীরা। শিগগিরই ভাইরাসটির প্রতিরোধক টিকা নিয়ে আসার বিষয়ে আশাবাদী তারা।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রাণঘাতী নোভেল করোনা ভাইরাসের টিকা উদ্ভাবনের জন্য রাশিয়ার নোভোসিবির্স্কের ভাইরোলোজি ও বায়োটেকনোলোজি বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভেক্টর ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন।
প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়, এরইমধ্যে তারা পরীক্ষামূলকভাবে দু’টি টিকার প্রোটোটাইপ উদ্ভাবন করেছেন।
প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ডাইরেক্টর রিনাত মাকসুইতভ জানান, আগামী জুনে টিকাগুলোর প্রোটোটাইপ প্রথমবারের মতো পরীক্ষা করা হবে।
রিনাত মাকসুইতভ জানান, ভেক্টর ইনস্টিটিউট ইতোমধ্যেই নোভেল করোনা ভাইরাসের দু’টি প্রকারভেদ আবিষ্কার করেছে।
এদিকে চীন রাশিয়ার কাছে ভাইরাসটির জেনোম হস্তান্তরের বিষয়ে জানিয়েছে চীনের গুয়াংজুতে অবস্থিত রাশিয়ার কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয়।
বুধবার গুয়াংজুর রুশ কনস্যুলেট এক বিবৃতিতে জানায়, চীনা কর্তৃপক্ষের রাশিয়ার কাছে এ ভাইরাসের জেনোম হস্তান্তর মানবদেহে ভাইরাসটির উপস্থিতির বিষয়ে পরীক্ষার পদ্ধতিকে আরও সহজ করতে রুশ বিজ্ঞানীদের চেষ্টাকে সাহায্য করবে।
ভাইরাসটি প্রতিরোধে টিকা উদ্ভাবনের জন্য রাশিয়া ও চীনের বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে কাজ করছেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানের একটি সি-ফুড মার্কেট থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হয়। চীনে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত অন্তত ১৩২ জন মৃত্যু বরণ করেছেন।
ইতোমধ্যেই চীনের বিভিন্ন প্রদেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া, নেপাল, ফ্রান্স ও কানাডা পর্যন্ত ছড়িয়েছে ভাইরাসটি।
তা সত্ত্বেও নোভেল করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতিকে বিশ্ব জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করছেনা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। ২২ ও ২৩ জানুয়ারি জেনেভায় সংস্থাটির বিশেষ কমিটির বৈঠকের পর সংস্থাটি এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়।তবে নোভেল করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে চীনের জন্য জরুরি অবস্থা সৃষ্টির কথা স্বীকার করেছে হু।